১৯১১ সালে যাত্রা শুরু এই ক্লাবের. উত্তর কলকাতার সমচেয়ে পুরনো এই পুজো
এইবছর পা দিল ১০৮ তম বছরে. শুরুতেই এনারা পাসে পেয়েছেন বিশিষ্ট কিছু মনীষী
যেমন দুখিরাম “চুনি” মজুমদার, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাইপ শ্রী সুরেশ
সমাজপতি প্রমুখ. এনারা ছাড়াও এই পুজোর সাথে ওতপ্রত ভাবে জড়িত ছিলেন এমন
একজন ব্যক্তি, মহালয়ার শুভ সকালে যার গলায় চন্ডিপাঠ না শুনলে পুজো শুরু হয়না
আপামর বাঙালির. হ্যাঁ, তিনি বিরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র. কমিটির সাথে কথা বলে জানা
গেল পুজো শুরুর অজানা কাহিনী. জানা গেল কোন এক সময় পাড়ায় আসেন নতুন
বিবাহিত এক দম্পতি. বাঙালির রীতি অনুযাই নিছক মজা করার উদ্দেশ্যে কার্তিক
পুজোর দিন তাদের দরজার সামনে কার্তিক ফেলে যায় পাড়ার কিছু তরুন যুবক কিন্তু
বাড়ির মালিক বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়াতে বিরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ও তাঁর সঙ্গীরা
সেই মূর্তি তুলে নিয়ে গিয়ে পাড়াতেই আয়োজন করেন একটি সর্বজনীন কার্তিক
পূজার. প্রথম পুজো সাফল্যমন্ডিত হওয়াতে তারা পরবর্তীকালে দূর্গা পুজো করার
কথা ভাবতে শুরু করে. সেই থেকে শুরু. আর পিছনে ফিরে দেখেননি তারা. এগিয়ে
চলেছেন কালের স্রোতে.
অত্যন্ত পুরানো এই পুজো ক্লাবের এই বছরের থিম “সময়ের মেলবন্ধন”. কালের
নিয়মে এগিয়ে যেতে হয় সবাইকেই. ব্যতিক্রম নয় নয় কেউই. অতীত থেকে একটু
একটু করে যুগের বদলে এসেছে আজকের আধুনিক যুগ. কিন্তু কেমন ছিল
আগেকারের দিনগুলি? সেই সময়ের পরিবর্তন এ এবারের থিম শ্যামপুকুর আদি
সার্বজনীন দুর্গোত্সব কমিটির. শিউলি ফুলের বোঁটার রঙ্গে রঙিন একচালা
সাবেকি মাতৃমূর্তি সজ্জিত হয়েছেন শিল্পী শ্রী শৈলেন পালের হাত ধরে. মন্ডপ
সজ্জার দায়িত্বে ছিল শ্রীমা ডেকরেটর. শিল্পী সরসীর হাত ধরে সজ্জিত হয়েছে
আদিকাল, মধ্যকাল এবং আধুনিককালের বিভিন্ন খন্ডচিত্র. মন্ডপের প্রবেশ পথে
রয়েছে অতীতের বাড়ি ও তখনকার বারোয়ারী পুজোর কিছু নিদর্শন, মন্ডপের
মধ্যভাগটি মাটির প্রদীপ, লন্ঠন, হাতপাখা ও বিভিন্ন হাতের কাজের সামগ্রী দিয়ে
সাজানো. শেষে থাকছে সাড়ে ৫ ফুটের বেদিতে সজ্জিত একচালা মাতৃমূর্তি.
কি? ইচ্ছে করছে তো এই অন্যতম পুরনো এই পুজোকে প্রতক্ষ্য করতে? তাহলে
সবাইকে চলে যেতে হবে ২২, রামধন মিত্র লেন, শ্যামবাজার. টাউন স্কুলের পাশে,
শ্যামপুকুর আদি সার্বজনীন দুর্গোত্সব কমিটির পুজো মন্ডপে.