১৯৫০ সালে পাইকপাড়ার জমিদার, মুর্শিদাবাদের কান্দির রাজপরিবারের থেকে জমিদারি বা দেবত্ব সম্পত্তি হস্তান্তরের পর এলাকার জনসংখ্যা বাড়তে থাকে, তৈরী হয় ক্লাব।শুরুতে এলাকায় ছিল ২টি ক্লাব।একটি মহাভারতী ক্লাব ও অপরটি জাগরণী ক্লাব।মহাভারতী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ব্যানার্জী, কালিপদ ব্যানার্জী, কনক দাস এবং তপোব্রত বোস. জাগরণী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ডঃ শৈলেশ চৌধুরী, উষা রঞ্জন সোম এবং ভূপেন রায়. একই বছর থেকে দূর্গা পূজা শুরু করে এই দুটি ক্লাব।দুটি ক্লাবই প্রথমে পাড়া থেকে চাঁদা তুলে পুজোর খরচ বহন করতো।১৯৭২ সালে এই দুটি ক্লাব মিলিত হয়ে যায় এবং নতুন নামকরণ হয় চারের পল্লি সার্বজনীন দুর্গোৎসব।
বর্তমান বছরে এই ক্লাবের পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন এলাকার মহিলা বাহিনী।২০ ফুট উঁচু সাবেকি মাতৃ প্রতিমা প্রাণ পেয়েছে শিল্পী দুলালচন্দ রুদ্র পালের হাতের জাদুতে।মণ্ডপটি তৈরী হয়েছে কান্দির রাজবাড়ীর আদলে আর থাকছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা।ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিদিন থাকছে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন।