৭০তম বর্ষে পদার্পণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পীঠস্থান বড়িশা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির।১৯৪০ সালে এই ক্লাবটির যাত্রা শুরু।ক্লাবের প্রেসিডেন্ট শ্রী পুলক চ্যাটার্জি। কলকাতার বিখ্যাত দ্বাদশ শিবমন্দির ও আটচালা মন্দির নিয়ে দূর্গাপূজা শুরু এই ক্লাবের।কিন্তু ঠাকুরদালানে পুজো করার দরুন কিছুলোকের সন্দেহের শিকার হতে হয় এই পুজোকে।পরবর্তীকালে বিখ্যাত সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার নিজেদের কাঁধে তুলে নেয় এই পুজোর দায়ভার।ক্লাবের সদস্য শ্রী তুলসি রায়চৌধুরী, শ্রী সুরেন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী এই পুজোকে বড় করে তোলেন ও এগিয়ে চলেন কালের স্রোতে।এই দীর্ঘ পথ চলায় যেমন তাদের পাথেয় হয়েছে অনেককিছু তেমনই পুরস্কারের ঝুলি হয়েছে পূর্ণ।রয়েছে বিশ্ব বাংলা পুরস্কার, রয়েছে শালিমার সমাজ কল্যাণ পুরস্কার, সিটির সেরা পুজোর শিরোপা এবং আরো অনেক।
পুজো ছাড়াও এই ক্লাবে আয়োজন হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাথেসাথে বিভিন্ন সোশ্যাল এন্ড চ্যারিটেবল একটিভিটিস।বিভিন্ন ত্রাণতহবিলে এরা দান করেন বিভিন্ন সামগ্রী যেমন বিস্কুটের প্যাকেট, দুধের প্যাকেট, খাবার সামগ্রী ইত্যাদি।
ক্লাবের মধ্যে রয়েছে একটি ডাক্তারখানাও।সেখানে প্রতি সোম, বুধ, শুক্র বসেন কোঠারি, সিএমআরআই খ্যাত ডক্টর পার্থসারথি সেনগুপ্ত।ক্লাবের রয়েছে ২৪ঘন্টা এম্বুলেন্স পরিষেবা।
এই বছর এই ক্লাবের থিম "এখনোমানুষ" . জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী শ্রী গৌরাঙ্গ কুলিয়ার হাতে প্রাণ পাচ্ছে মাতৃ মূর্তি।