কলকাতার ১৯৬১ সাল থেকে শুরু হওয়া সেই পুজোয় ক্লাবের সদস্যবৃন্দরা নিজেদের উদ্যোগে চাঁদা তুলে আয়োজন করে নিজেদের মতো করে। মূলত দেশভাগ পরবর্তী উদ্বাস্তু মানুষজন নিয়ে গড়ে ওঠা এই এলাকার পরিপ্রেক্ষিতে সেই পুজোয় ছিল এক অন্য আনন্দের পরিসর।
দক্ষিণ শহরতলির বাঁশদ্রোণি এলাকায় প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করে ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ক্লাব সরোজ সংঘ। মানুষকে নতুনভাবে আনন্দ দেওয়ার স্বীকৃতি স্বরূপ বিগত বছরগুলিতে তারা জিতেছে নানান পুরস্কার। যেমন, ২০১১ এবিপি আনন্দ স্পেশ্যাল জুরি অ্যাওয়ার্ড, চতুষ্কোণ শারদ সম্মান, সেরা কুড়ি পুজো ২০১৭, এছাড়াও রিজেন্ট পার্ক থানার শারদ সম্মান।
চলতি বছরে আমাদের পুজো ৫৭ তম বর্ষে পা দিয়েছে। বিগত বছর ও বর্তমান বছরের পুজো কমিটির সভাপতি শ্রী মৃন্ময় কর-এর তত্ত্বাবধানে এই ক্লাব এগিয়ে চলছে সাধারন মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। এগোনোর সেই পথে এইবছর মণ্ডপ ভাবনায় উঠে এসেছে একটুকরো "স্বর্গ". "স্বর্গ হল শুভ্রতা ও শান্তির দেশ, দেবী দুর্গার আবাহন তাই শান্তির আবাহন। চারিদিকের অশান্তির পরিমণ্ডল দূর করে নেমে আসুক শান্তির স্বর্গ"- এটাই ক্লাব কতৃপক্ষের ভাবনা।