১৯৪৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু ২৫ পল্লি ক্লাবের। ক্লাবের বর্তমান সলিল চ্যাটার্জি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেই শুরু হয় দুর্গাপূজা। প্রথম গঙ্গাধর বাবু লেনে। পুজোর মূল উদ্যোক্তা ছিল মিতালি সংঘ এবং ইভনিং ক্লাব। প্রথম বছর থেকেই শ্রেষ্ঠ প্রতিমা আনার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন কুমোরটুলিতে। মধ্য ৫০শে চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনেন কতৃপক্ষ। প্রচলিত বাঁশের তৈরী মণ্ডপ সজ্জা কে চেষ্টা করেন উডেন মেটিরিয়াল সাজানোর. প্রথম বছরেই সাফল্য আসে. ধীরে ধীরে তারা তৈরী করেন হাওড়া ব্রিজ, শিষমহল, মডার্ন অডিটোরিয়াম প্রভৃতি। বর্তমান যুগের থিমের দৌড়ে তাদের বিভিন্ন নিবেদন গুলির মধ্যে অন্যতম কিছু হলো "আদিমাতা আজও বিষময়", "ফাউন্টেন অফ ট্রেভি", "মানব জীবন রইলো পতিত" ইত্যাদি।
এই দীর্ঘ যাত্রা পথে তাদের পুরস্কারের ঝুলি পূর্ণ হয়েছে বিভিন্ন পুরস্কারে। ঝুলিতে রয়েছে এশিয়ান পেন্টস শারদ সম্মান, সংবাদ প্রতিদিন থেকে পূজা পারফেক্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড, রয়েছে ষ্টার আনন্দের পক্ষ থেকে সুপারস্টার পুজোর সম্মান। আরো রয়েছে কোলকাতাশ্রী, বিশ্ববাংলা থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন পুরস্কার।
প্ল্যাটিনাম জুবিলীর দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে তারা পাশে পেয়েছেন বেশ কিছু অক্লান্ত পরিশ্রমী ব্যক্তিত্বকে। পাশে পেয়েছেন রাধাকৃষ্ণ আগারওয়াল, সমীর দত্ত, রাধারমন দে, লোকনাথ প্রামানিকের মতো মানুষদের.
দুর্গাপূজা ছাড়াও নানান সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করা হয় এই ক্লাবের পক্ষ থেকে। ভারত সেবাশ্রম সংঘের সাথে যুবক এই ক্লাব প্রতক্ষ করেছে দক্ষিনেশ্বরের আদ্যাপিঠ মন্দিরের নির্মাণ।বন্যাত্রান তহবিল, হাতির হানায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া গ্রামের বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের মতো পুণ্যের কাজের সাক্ষী এই ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।